বৃষ্টিভেজা চুল কীভাবে ভালো রাখবেন?
বৃষ্টি পড়ছে আর তাতে কেউ ভিজবেনা, তা কি হয়? হয় না। তাইতো মজা করে বৃষ্টিতে ভিজলেন। কিন্তু একবারও চুলের কথা ভাবলেন না। বৃষ্টিতে ভেজা হলো, মজা হলো আরও কত কী। তারপর চুল পড়া শুরু হল, হঠাৎ করে চুল কেন পড়ছে তা নিয়ে ভাবনাও শুরু করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কূল কিনারা পেলেন না।মজার সাথে সাজাওতো থাকে; তা কি ভুলে গেছেন?
বর্ষা ঋতুতে চুল পড়ে বেশি। তাই ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। চুল খুব দ্রুত শুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন আর মোটা ফাঁকা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন।
শ্যাম্পু করার পর চুলকে অবশ্যই প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনিং করবেন। খুব সহজ পদ্ধতি হলো ৫০০ মিলি পানির সাথে ২ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে শ্যাম্পু করার পরপরই ধুয়ে ফেলবেন। ভিনেগার দেয়ার পর চুল আলাদা করে পানি দিয়ে ধোয়ার দরকার নেই। অবশ্যই কেমিক্যাল কন্ডিশনার ব্যবহার কম করবেন কারণ এই ঋতুতে এটা চুলের অনেক ক্ষতি করবে।
বৃষ্টির দিনের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় রোজ চুল ধোয়া উচিত। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় চুলের গোড়া ভিজে যায়। ফলে ভেজা চুলের গোড়ায় ফাংগাস হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
যারা প্রতিদিন বাইরে যান, তারা একদিন পরপর এবং যারা বাইরে খুব একটা বের হন না তারা সপ্তাহে অন্তত দু’বার শ্যাম্পু করুন। যাদের প্রতিদিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হয়, তারা মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু শেষে চুলের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে চুল অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। ভেজা চুল কখনোই ঘষে ঘষে মুছবেন না, এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
এ সময় বিশেষ ধরনের অয়েল ম্যাসাজের প্রয়োজন । ভঙ্গুর ও রুক্ষ চুলের জন্য দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সাথে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগান, মাথার ত্বকে লাগাবেন না। পনেরো থেকে বিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চুল তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য বারবার হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুল তার স্বাভাবিক ময়েশ্চার হারিয়ে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। চুলে জটা লাগলে প্রথমে আঙুল দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিন তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান।
চুল ভেজা রাখবেন না। ভেজা চুলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না, এতে চুল দুর্বল হয়ে যায় ও চুল পড়া বেড়ে যায়। বৃষ্টির সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এ সময় হেয়ার স্ট্রেটনিং, কার্লিং বা পামিং যতটা কম করা যায় তত ভালো।